Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৪ August ২০২০

কচুয়া-বেতাগী সড়কে পায়রা নদীর উপর সেতু নির্মাণ প্রকল্প

প্রকল্পের নাম

কচুয়া-বেতাগী সড়কে পায়রা নদীর উপর সেতু নির্মাণে প্রকল্প

প্রকল্পের অবস্থান

কচুয়া-বেতাগী-পটুয়াখালী-লোহালিয়া-কালাইয়া সড়কের ১৭ তম কিলোমিটারে (জেড ৮০৫২) পায়রা নদীর উপর

ম্যাপ

প্রাক্কলিত ব্যয়

১০৪২২৭.৭৯ (লক্ষ টাকায়)

নির্মাণের কারণ

প্রকল্পটির প্রধান উদ্দেশ্য হলো কচুয়া-বেতাগী-পটুয়াখালী-লোহালিয়া-কালাইয়া সড়কের ১৭ তম কিলোমিটারে (জেড ৮০৫২) পায়রা নদীর উপর পায়রাকুঞ্জ নামক স্থানে ১৬৯০.০০ মিঃ দীর্ঘ সেতু নির্মাণের মাধ্যমে মির্জাগঞ্জ উপজেলার সাথে পটুয়াখালী সদর এবং ঢাকার সরাসরি ও নিরবচ্ছিন্ন এবং ব্যয় সাশ্রয়ী সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করা।

অর্থনৈতিক প্রভাব

কয়েক বছর পূর্বেও বরিশাল অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটা নৌপথের উপর নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু দোয়ারিকা ও শিকারপুর সেতু নির্মাণের পর ঢাকা-মাওয়া-বরিশাল-পটুয়াখালী সড়ক যোগাযোগ পূর্বের তুলনায় উন্নত হয়েছে। উক্ত সড়কে পায়রা নদীর উপর লেবুখালী সেতুর নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। তাছাড়া ঢাকা-মাওয়া-বরিশাল সড়কে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজও চলমান রয়েছে। কচুয়া-বেতাগী-পটুয়াখালী-লোহালিয়া-কালাইয়া সড়কে পায়রা নদীর উপর প্রস্তাবিত সেতুটি নির্মিত হলে হলে মির্জাগঞ্জ উপজেলার সাথে পটুয়াখালী সদরের ভ্রমণ সময় প্রায় দেড় ঘন্টা হ্রাস পাবে এবং লেবুখালী ও পদ্মা সেতুর মাধ্যমে মির্জাগঞ্জ উপজেলার সাথে ঢাকার সরাসরি ও নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে।  

জিডিপি-তে ইতিবাচক প্রভাব

প্রকল্প বাস্তবায়নকালীন প্রকল্প এলাকার জনগণের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। তাছাড়া নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পরও সেতুর রক্ষণাবেক্ষণেও নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। উক্ত এলাকায় নতুন নতুন শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠিত হবে। এতে কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ ঐ এলাকার জনগণের আয় বৃদ্ধি পাবে। যা জিডিপিতে অবদান রাখবে।      

প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

প্রস্তাবিত এই সেতুটি নির্মাণে ২০১২ সালে সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় প্রস্তাবিত ব্যয় সর্বশেষ রেট সিডিউল অনুযায়ী সংশোধন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র শীর্ষেন্দু বিশ্বাস মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর পত্র প্রেরণ করে মির্জাগঞ্জ হতে পটুয়াখালী যাওয়ার জন্য পায়রা নদীর উপর সেতু নির্মাণের অনুরোধ জানায়। শীর্ষেন্দু বিশ্বাসের পত্রের জবাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মির্জাগঞ্জের পায়রা নদীতে একটি সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে তাকে আশ্বস্ত করেন।  প্রস্তাবিত এই সেতুটি নির্মাণের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পত্র মারফত সেতু বিভাগকে অনুরোধ জানানো হয়। সেতুটি নির্মাণে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহের অর্থ সহায়তা চাওয়া হলেও এ বিষয়ে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। যে কারণে জিওবি অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে।

সেতুর প্রাথমিক ডিজাইন অনুযায়ী BIWTA এর শ্রেণীবিন্যাস অনুযায়ী এই রুটটি ১ম শ্রেণীর হওয়ায় নৌযান চলাচলের সুবিধার্থে সেতুর vertical clearance ধরা হয়েছে ১৮.৩ মিটার। সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ১৬৯০ মিটার। এর মধ্যে মাঝের ১০০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৯ টি স্প্যান এবং উভয় প্রান্তে ৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ২টি স্প্যান ও ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের ২৩ টি স্প্যান।    

বাস্তবায়ন অগ্রগতি

কচুয়া-বেতাগী সড়কে পায়রা নদীর উপর সেতু নির্মাণে প্রকল্পের ডিপিপি ১০/০৩/২০২০ তারিখে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় অনুমোদিত হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ করা হয়েছে এবং ঠিকাদার নিয়োগের জন্য Pre Qualification (PQ) আহবান করা হয়েছে।