ভূলতা-আড়াইহাজার-বাঞ্ছারামপুর সড়কের বিশনন্দী-কড়াইকান্দি ফেরীর মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর ও নবীনগরের সাথে ঢাকা ও অন্যান্য জেলার সড়ক যোগাযোগ চালু রয়েছে, যা দীর্ঘ সময়সাপেক্ষ এবং দুর্যোগকালীন ঝুঁকিপূর্ণ। এ পরিস্থিতি বিবেচনায় সেতু নির্মাণে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থায়নে ২০২০ সালের মার্চ মাসে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন হয়। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১৯ আগস্ট ২০২০ তারিখের সভায় প্রকল্পটি পিপিপি পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের বিষয়ে নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়। কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান Daewoo Engineering and Construction Company Ltd, Hyundai Engineering & Construction Company Ltd এবং Korea Expressway Corporation সমন্বয়ে Consortium প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ Transaction Advisor হিসেবে IIFC-কে নিয়োগ প্রদান করে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান এপ্রিল ২০২২ মাসে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন করেছে। বিশনন্দী-কড়ইকান্দি ফেরীঘাট অবস্থানে প্রস্তাবিত সেতুটির দৈর্ঘ্য হবে ৩.৩১ কিলোমিটার ও উভয় প্রান্তের সংযোগ সড়কের দৈর্ঘ্য হবে ৪.৪ কিলোমিটার। সেতুর ধরণ হবে Extradosed concrete box girder bridge (main span 200m)। প্রকল্পের VGF Proposal অর্থ বিভাগ কর্তৃক নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়েছে। বিনিয়োগকারী বরাবর গত ১০/০৩/২০২৪ তারিখ RFP ইস্যু করা হয়েছে। শীঘ্রই বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে কনসেশন চুক্তি স্বাক্ষরের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রস্তাবিত এ সেতুটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর ও নবীনগরের সাথে ঢাকা ও অন্যান্য জেলার সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট হাইওয়ের বিকল্প অ্যালাইনমেন্ট হিসেবে কাজ করবে। সেতুটি নির্মিত হলে এই পথে ঢাকা হতে আড়াইহাজার-বাঞ্ছারামপুর হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং ভারতের আগরতলার দূরত্ব সবচেয়ে কম হবে।
বর্ণিত পিপিপি প্রকল্পের নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নে সার্বিক সহায়তা ও ব্যবস্থাপনা প্রদানের লক্ষ্যে “পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ (পিপিপি) ভিত্তিতে ভুলতা-আড়াইহাজার-বাঞ্ছারামপুর সড়কে মেঘনা নদীর উপর সেতু নির্মাণের সহায়ক প্রকল্প” শীর্ষক প্রকল্পের ডিপিপি অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করা হয়েছে।