Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২২nd অক্টোবর ২০২৪

কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলা সদর হতে করিমগঞ্জ উপজেলার মরিচখালি পর্যন্ত উড়াল সড়ক নির্মাণ প্রকল্প

“কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলা সদর হতে করিমগঞ্জ উপজেলার মরিচখালি পর্যন্ত উড়াল সড়ক নির্মাণ” শীর্ষক প্রকল্পটি মোট ৫৬৫১.১৩ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে সম্পূর্ণ জিওবি অর্থায়নে গত ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখের একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম তিনটি হাওড় পরিবেষ্টিত উপজেলা। হাওড় এলাকার জনগোষ্ঠীর প্রধান উপজীবীকা কৃষিকাজ এবং বছরে একটি মাত্র ফসল (বোরো ধান) উৎপন্ন হয়। দুর্যোগপ্রবণ এলাকা হওয়ায় আকস্মিক বন্যায় ফসল বিনষ্ট হলে কৃষিজীবীরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। ২০২০ সালে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক চালু হলে উক্ত এলাকায় সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়। কিন্তু ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম এর সাথে কিশোরগঞ্জ জেলা সদরসহ অন্যান্য জেলার সাথে বছরব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ না থাকায় ঐ এলাকার উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাত করার ক্ষেত্রে এলাকার জনগণকে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাছাড়া মিঠামইন সদর উপজেলার কাছে একটি সেনানিবাস প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এটিও কিশোরগঞ্জ জেলা সদর হতে বিচ্ছিন্ন। বর্ণিত বিষয়সহ হাওর এলাকার পরিবেশ রক্ষার বিষয় বিবেচনায় নিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলা সদর হতে করিমগঞ্জ উপজেলার মরিচখালি পর্যন্ত উড়াল সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।    

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ১৫১ একর ভূমি অধিগ্রহণে প্রয়োজন হবে। এ প্রকল্পের আওতায় কিশোরগঞ্জ জেলার নাকভাঙ্গা হতে মরিচখালি পর্যন্ত বিদ্যমান ১৩.৪০ কিলোমিটার সড়ক ৪-লেনে উন্নীতকরণ এবং মরিচখালি হতে মিঠামইন পর্যন্ত হাওড়ের মধ্য দিয়ে ১৫.৩১ কিলোমিটার উড়াল সড়ক নির্মাণ করা হবে। বর্তমানে প্রকল্পের আওতায় ভূমি অধিগ্রহণ ও ঠিকাদার নিয়োগের কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পটি জুন ২০২৮ নাগাদ বাস্তবায়িত হবে আশা করা যায়।    

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে একদিকে যেমন সেনানিবাসসহ মিঠামইন, ইটনা ও অষ্টগ্রাম উপজেলার সাথে কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের বছরব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ স্থাপিত হবে, তেমনিভাবে এ হাওড় অঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল হবে। কৃষি পণ্য ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে পরিবহন করা সহজ হবে এবং পরিবহন খরচ হ্রাস পাবে। এর ফলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, কর্মসংস্থান বাড়বে, দারিদ্রতা হ্রাস পাবে এবং এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নতি ঘটবে।