মাসের নাম |
বাস্তবায়ন অগ্রগতি |
---|---|
সেপ্টেম্বর, ২০২৪ |
ঢাকা শহরের উত্তরাঞ্চল তথা সাভার, আশুলিয়া, নবীনগর ও ইপিজেড সংলগ্ন শিল্প এলাকার যানজট নিরসন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্রুত উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আশুলিয়া হয়ে ইপিজেড পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি ১৭৫৫৩ কোটি ০৪ লক্ষ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে সেপ্টেম্বর ২০১৭ হতে জুন ২০২৬ মেয়াদে বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের অর্থায়নের বিষয়ে গত ২৬ অক্টোবর ২০২১ তারিখ চায়না এক্সিম ব্যাংক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের মধ্যে ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে যা পরবর্তিতে ১০ মে ২০২২ তারিখ হতে কার্যকর হয়েছে। গত ১২ নভেম্বর ২০২২ তারিখ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়। প্রকল্পের আওতায় ১ম পর্যায়ের ঢাকা জেলার ৪১.৬১৮৫ একর এবং গাজীপুর জেলার ১৫.৫৯১০ একর ভূমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ২য় পর্যায়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ঢাকা কর্তৃক ৩৯.১৪৫৬ একর ভূমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ৩য় পর্যায়ে ঢাকা ও গাজীপুর জেলা অংশের ভূমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। বর্তমানে যৌথ তদন্ত চলছে। প্রকল্পের ১ম ১২ কি.মি. অংশে Impacted Person এর সংখ্যা ৩০৯১ জন। সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত ১৬৬৭ জন Entitled Person কে ৯,২৩,৯০,৭৬৩.০০ (নয় কোটি তেইশ লক্ষ নব্বই হাজার সাতশত তেষট্টি) টাকা ক্ষতিপূরণের চেক প্রদান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের বিভিন্ন অংশে ৩৩১০টি পাইল, ৭২১টি পাইল ক্যাপ/ক্রস বিম, ৮০৩টি পিয়ার কলাম, ৩০১টি পিয়ার ক্যাপ, ৭০২টি গার্ডার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও ৩০ মিটার ডেক স্ল্যাব এর কাজ সমাপ্ত হয়েছে। সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৪৮%। ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ সম্পন্ন হলে সাভার ইপিজেড হতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন সিগন্যাল ফ্রি ৪৪ কিলোমিটার নতুন এলিভেটেড রাস্তা তৈরি হবে। এর ফলে দেশের উত্তরাঞ্চল হতে আগত যানবাহনসমূহ সরাসরি ঢাকা অতিক্রম করে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাসমূহে যাওয়ার সুযোগ লাভ করবে। ঢাকার যানজট অনেকাংশে হ্রাস পাবে। এছাড়া, সাভার, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর এর রপ্তানিমুখী শিল্পাঞ্চলে দ্রুত পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। একই সাথে এটি নির্মিত হলে এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্ক এবং প্রায় সকল জাতীয় মহাসড়কের সাথে যুক্ত হওয়ার পাশাপাশি ঢাকার সাথে বিভিন্ন জেলার সংযোগ স্থাপনকারী আবদুল্লাহপুর-আশুলিয়া-বাইপাইল-চন্দ্রা করিডোরে যানজট অনেকাংশে হ্রাস পাবে। সম্ভাব্যতা সমীক্ষা অনুযায়ী এই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ০.২১৭% বৃদ্ধি পাবে। |